সময় সিলেট টিভি ডেস্ক :
ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথের হবিগঞ্জ অংশের অন্তত ৮টি স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবে এসব স্টেশনের বেশিরভাগই এখন পরিত্যক্ত। খোয়া যাচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল। এলাকাবাসীর দাবি, রেলস্টেশনগুলো পুনরায় চালু হলে যাত্রীসেবার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে।
তবে রেলওয়ে বিভাগ বলছে, জনবল সংকটের কারণেই এমন বেহাল দশা। ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথের হবিগঞ্জ অংশের লস্করপুর, রশিদপুর, সাটিয়াজুরী, তেলিয়াপাড়া, শাহপুর, ইটাখোলা ও কাশিমনগরসহ ৮টি স্টেশনের কার্যক্রম নেই দীর্ঘদিন। শতাধিক বছরের পুরানো স্টেশনগুলো ২০০৮ থেকে ২০১১ সালের দিকে জনবল সংকটের কারণ দেখিয়ে বন্ধ রাখা হয়।
একই কারণে মনতলা ও নোয়াপাড়া স্টেশনটিও বন্ধের উপক্রম। এতে পরিত্যক্ত স্টেশন ও আশপাশের সরকারি জমি দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। এমনকি খোয়া যাচ্ছে স্টেশনের মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল। স্থানীয়রা বলছেন, স্টেশনগুলো বন্ধ হওয়ার এ এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ হয়েছে। এছাড়া রেলের জায়গা দখল করে ফেলছে প্রভাবশালীরা। আর রাত হলেই চুরি হচ্ছে যন্ত্রপাতি। দখল হওয়া জায়গা উদ্ধার করে স্টেশনগুলো আবার চালু হলে এসব এলাকায় চাঙ্গা হবে ব্যবসা-বাণিজ্য।
লোকবল নিয়োগ না দেয়ার কারণেই স্টেশনগুলোর এমন দশা জানালেন রেলওয়ে কর্মকর্তা। বললেন, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। হবিগঞ্জের মনতলা সিনিয়র স্টেশন মাস্টার আতাউর রহমান বলেন, ‘দুজন স্টেশন মাস্টার দিয়ে অনেকগুলো স্টেশন চালু রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় লোকবল নিয়োগ না দিলে পরবর্তীতে কাজ করা প্রায় অসম্ভব।’ ১৮৯৬ থেকে ১৮৯৯ সালের দিকে হবিগঞ্জে স্টেশনগুলো নির্মাণ করা হয় জানিয়েছে রেলওয়ে বিভাগ।