ঢাকা মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ১৯৮০ সালে প্রায় ২ হাজার ১০৪ একর পাহাড়ি জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় এই বাগান। পর্যায়ক্রমে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার গাছ রোপণ করা হয়। ১৯৯০ সাল থেকে এসব গাছ থেকে রাবার উৎপাদন শুরু হয়। তবে ২০১৫ সালের পর থেকে বেশিরভাগ গাছের উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাওয়ায় উৎপাদন মারাত্মকভাবে হ্রাস পায় এবং বাগান লোকসানে পড়ে।
শাহজীবাজার রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক নন্দী গোপাল রায় জানান, বহু গাছ জীবনচক্র হারানোয় উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছিল। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিনি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এরই অংশ হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ৬০ একর জমিতে নতুন গাছ লাগানো হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যেই এসব চারা গাছ থেকে নতুন রাবার উৎপাদন শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৭০ মেট্রিক টন রাবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আমরা ৪২৯.৯৪ মেট্রিক টন উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩৯৫ মেট্রিক টনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ইতোমধ্যেই ৩৭৬.২২ মেট্রিক টন উৎপাদন সম্পন্ন হয়েছে।” তার ভাষ্যমতে, এই ধারাবাহিকতাই প্রমাণ করছে যে শাহজীবাজার রাবার বাগান নতুন সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে এই বাগানে প্রায় ২৫৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজ করছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, দায়িত্বশীলতা এবং একাগ্র প্রচেষ্টায় বাগানটি আবারও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। ব্যবস্থাপকের সঠিক দিকনির্দেশনা কর্মীদের ঐকান্তিক সহযোগিতায় লোকসান কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি ভবিষ্যতে দেশের রাবার শিল্পে আরও বড় অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্যবস্থাপক নন্দী গোপাল রায় দৃঢ় কণ্ঠে জানান, “আমরা চাই শাহজীবাজার রাবার বাগান শুধু লোকসান কাটিয়েই নয়, আগামীতে দেশের অর্থনীতিতে রাবার শিল্পের একটি শক্তিশালী অবলম্বন হয়ে উঠুক।”
আপনার মতামত লিখুন :