ঢাকা বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪

ঢাকা বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪

মুনতাহার লাশ পুঁতে রাখা হয়েছিল পাশের বাড়ির খালে

অনলাইন ডেস্ক ।। প্রকাশ: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ১:৪২ পিএম

সময় সিলেট টিভি :

সিলেটের কানাইঘাটে সাতদিন ধরে নিখোঁজ এক শিশুর মরদেহ বাড়ির পাশের খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার ভোর রাত ৩টার দিকে খালে পুঁতে রাখা শিশুটির নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় শিশুটির গলায় রশি পেঁচানো ছিল বলে জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল।

নিহত ছয় বছর বয়সী মুনতাহা আক্তার জেরিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।

শামীম জানান, গত ৩ নভেম্বর সকালে তার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে শিশু মুনতাহা। পরে আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু বিকাল হলেও বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।

পরে এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছিলেন তিনি।

শিশুটি নিখোঁজের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাকে উদ্ধারের আহ্বান জানান অনেকে। শিশুটির খোঁজ দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন কয়েকজন প্রবাসী।

রোববার লাশ উদ্ধারের পর ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, মুনতাহা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশী মর্জিয়া আক্তার, তার মা আলীফজান ও নানি কুতুবজানকে আটক করা হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, ৩ নভেম্বর মুনতাহাকে অপহরণ করা হয়। ওইদিনই মর্জিয়া ও তার মা আলীফজান বেগম তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর মরদেহ ঘরের পাশের একটি খালের কাদামাটিতে চাপা দিয়ে রাখে।

রোববার ভোরে আলীফজান সেখান থেকে মরদেহ সরানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা দেখে ফেলেন। তিনি মুনতাহার মরদেহ খাল থেকে সরিয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলার চেষ্টা করছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল মরদেহ পুকুরে ফেলে মূল ঘটনা ব্যাহত করার।

“কিন্তু স্থানীয়রা তা দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।”

ওসি আরও বলেন, “শনিবার রাত ১২টার দিকে সন্দেহবশত মর্জিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো তথ্য উদ্‌ঘাটন করা যায়নি। বরং সহজভাবে হেসে হেসে উত্তর দেয়।

“এরপর ভোররাতে মরদেহ উদ্ধারের পর তাকে আটক দেখানো হয়।

এর মধ্যে আলীফজান ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। তবে কি কারণে মুনতাহাকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানান ওসি।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মর্জিয়াদের বসতঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, “ঘটনার দিন রোববার আমার বাড়িতে খেলা করছিল মুনতাহা। আমাদের বিশ্বাস ছিল শিশুটিকে জীবিত পাবো। কিন্তু তাকে হত্যা করা হবে-ঘরের পাশে তার মরদেহ মিলবে, কল্পনাও করিনি।”

তিনি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

সূত্র : বিডি নিউজ ২৪