ঢাকা বুধবার ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
এই নদীর নাম বাদাঘাট নদী, স্থানীয়ভাবে অনেকে একে “ইনঘাইন নদী” বলেও চেনেন।
যুগের পর যুগ এই নদী থেকে বিপুল পরিমাণ বালি উত্তোলন করা হয়েছে। এই নদীর পেট চিড়ে গড়ে উঠেছে শত শত কোটি টাকার ব্যবসা ও সম্পদ, অথচ নদীর তীরের সাধারণ মানুষগুলো পেয়েছে কেবল ভাঙনের ভয় আর জীবনের অনিশ্চয়তা।
আজ এই নদীর পাড়ের বহু পরিবার পানির স্রোতে সব হারিয়েছে। মাত্র কয়েকদিন আগেই প্রায় ১৪টি পরিবার তাদের স্বপ্নের ঘর ছেড়ে নিঃস্ব ও বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। আমি সময়ে করে তাঁদের খুঁজ নিতে চাই। পিটারগঞ্জ বাজারের অস্থিত্বও হুমকির মুখে।
আমাদের সিলেট মহানগর এনসিপির সহযোদ্ধা সুলতান মিজান দেখালেন তাঁর ভেঙে যাওয়া ঘর – অর্ধেক নদীর পেঠে।
আমি নৌকায় করে নদীর ভাঙন পরিদর্শন করলাম। সাথে বাজার কমিটির নেতা, স্থানীয় মসজিদের ইমামসহ অনেকে এসে বললেন—বহু নেতা এসেছেন, অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু নদী রক্ষা বা পুনর্বাসনের জন্য রাষ্ট্র কিংবা স্থানীয় প্রশাসন এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি।
মিজান আমাকে দেখালেন একটি ঐতিহাসিক মসজিদ, যা ধীরে ধীরে নদীর স্রোতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
আমি কাউকে কোনো মিথ্যা আশ্বাস দিইনি, যেমনটা রাজনীতিবিদেরা প্রায়ই দেন। আমি শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছি—এই গ্রামের নিরাপত্তা ও পরিবারগুলোর ভবিষ্যৎ যে আমলাতন্ত্রের জটিলতায় আটকে আছে, আমি তা খুঁজে দেখব এবং জানতে চাইব কেন এই নদীপাড়ের মানুষগুলোর প্রতি রাষ্ট্র এত উদাসীন।
এহতেশাম হক
সাবেক লন্ডন কাউন্সিলর,
প্রতিষ্টাতা যুগ্ম আহবায়ক,এনসিপি, বাংলাদেশ।
আপনার মতামত লিখুন :