ঢাকা বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪
কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে মাঠে নামলেও শেষমেশ তা রূপ নেয় রাষ্ট্র সংস্কারের ডাকে। সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও বলছে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা। সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়কও রাষ্ট্র সংস্কারের নানা পরিকল্পনার কথা জানাচ্ছেন। এর মধ্যেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বে রাজনীতিতে নতুন শক্তির উত্থানের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, সময়ের প্রয়োজনে তারা রাজনীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করতেও রাজি। এ নিয়ে তারা রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কথা বলছেন। ইতিবাচক সাড়া পেলে গড়ে তুলবেন নতুন রাজনৈতিক দল। তবে তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নয়, নতুন কোনো নামে আত্মপ্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে প্রথম সারিতে থাকা অধিকাংশই গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামের একটি ছাত্র সংগঠনের সদস্য। মূলত নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ থেকে বের হয়ে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন ও মো. নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে গত বছর এই ছাত্র সংগঠনটি করা হয়েছিল। এই সংগঠনের অনুসারীরাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম করার চিন্তা করছেন। তারা মূলত তারুণ্যনির্ভর বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি তৈরি করতে চান।
তাদের কয়েকজন শীর্ষ নেতা জানান, সময়ের প্রয়োজনেই কোটা সংস্কার আন্দোলনের ডাক এসেছিল। এই আন্দোলনের আরেকটি লক্ষ্য রাষ্ট্র সংস্কার। রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের বাইরে গিয়ে করা সম্ভব হবে না। তাই এখনকার মতো জনসমর্থন অব্যাহত থাকলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করা হবে। এই রাজনৈতিক দল লেজুড়বৃত্তি, গতানুগতিকতা ও পরিবারতন্ত্রের বাইরে গিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :