মাধবপুর সদর হাসপাতালের প্রবেশপথে চরম ভোগান্তি
সময় সিলেট টিভি :
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের প্রবেশপথের ব্রিজ টি সংকীর্ণ ও ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। ভোগান্তিতে আছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও দর্শনার্থীরা।
উপজেলা সদর হাসপাতালের মূল প্রবেশপথটি দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকায় হাসপাতালের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত সংকীর্ণ ও ভাঙ্গা ব্রিজের রাস্তাটি দিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করতে গিয়ে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শত শত রোগী।
জানা যায়, দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখ এর উপর যে বর্বরোচিত হামলাটি হয়েছিল তার কিছুদিন পর থেকেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় সরকার সারা দেশের ন্যায় মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের সামনে হাসপাতালে প্রবেশের রাস্তাটি নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেয়া হয়। আর তখন থেকেই মূলত: ভোগান্তির সূত্রপাত ঘটে।
সিলেট বিভাগের প্রবেশদ্বার খ্যাত মাধবপুর উপজেলা সদর হাসপাতালটি ঢাকা সিলেট মহাসড়কের কাছাকাছি অবস্থিত ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সুবিধা জনক হওয়ায় পার্শ্ববর্তী বিজয়নগর, নাছিরনগর, হবিগঞ্জ সদর ও চুনারঘাট উপজেলার রোগীরা প্রতিনিয়ত চিকিৎসার জন্য আসে।
তাছাড়া মহাসড়কে দুর্ঘটনা কবলিত রোগী, জরুরী প্রসূতি রোগীরা অ্যাম্বুলেন্স সহ যেকোনো প্রকার বাহনে করে এই সংকীর্ণ ভাঙ্গা ব্রিজ টি দিয়ে প্রবেশ করতে নানা প্রকার ভোগান্তি ও দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। একে তো ভাঙ্গা ব্রিজ তার উপর প্রবেশের রাস্তাটি খানাখন্দে ভর্তি। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কাদায় ভরে যায়। পায়ে হেঁটে প্রবেশও তখন কঠিন হয়ে পড়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশপথের ভাঙ্গা ব্রিজ ও চলাচলের রাস্তাটি প্রশস্ত করার দাবি জানিয়েছে রোগী ও স্থানীয় এলাকাবাসী। এতে দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা সময়ের অপচয় ও ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ইশতিয়াক মামুন হাসপাতালে প্রবেশপথের ভোগান্তির বিষয়ে বলেছেন বাংলাদেশের প্রতিটি হাসপাতালের রাস্তায়ই ভালো। কিন্তু এই রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে তিনি বিব্রত বোধ করেছেন।
পৌরসভা মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মানিক জানান, মাসিক সমন্বয় সভায় জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উত্থাপন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :